ওমিক্রণের দোহাই দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা যাবে না

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মনির হোসাইন বলেন, দেশ এক চরম দুর্দিনের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। সরকার মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে নিজেদের স্বার্থ আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। ফলে দেশে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দেশকে সকল প্রকার অস্থিরতা থেকে বাঁচিয়ে রাখতে কর্তব্যরত ব্যক্তিদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে আহবান করেন।
তিনি বলেন, সরকার বিশেষ কৌশলে মেধাবী ছাত্রদের মেধাহীন করার পায়তারা করছে। করোনার দোহাই দিয়ে সরকার দীর্ঘ দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছিলো। বেসরকারী এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে প্রায় ৪০% শিক্ষার্থী ঝরে পরেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বই ছেড়ে মাদকাসক্ত হয়ে জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলে সরকার পুনরায় নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ওমিক্রনের দোহাই দিয়ে পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের চিন্তা করছে।

তিনি বলেন, সরকার যদি নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে তাহলে অতীতের ন্যায় ছাত্র মজলিস সাধারণ ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে।

আজ ১৪ জানুয়ারি’২২, শুক্রবার, সকাল ৯:৩০ টায় সংগঠনের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশান মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

শাখা সভাপতি আহসান আহমদ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বিশিষ্ট কলামিস্ট মাওলানা রুহুল আমিন সা’দী, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলীল, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল ও প্রচার সম্পাদক কে এম ইমরান হুসাইন, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ খন্দকার, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও চট্রগ্রাম মহানগরী সভাপতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান।

শাখা সেক্রেটারি নূর মুহাম্মাদের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাবেক সভাপতি আজিজ উল্লাহ আহমদী, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু সালেহ, বায়তুলমাল ও প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, দক্ষিণের বায়তুলমাল সম্পাদক আবদুল মতিন, মুহাম্মদ জাফর
উল্লাহ শারাফাত, মুহাম্মদ নাজমুল বারী, আম্মার আল ফারাহ প্রমুখ।