শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, শিক্ষা হচ্ছে একজন ছাত্রের মৌলিক অধিকার। শিক্ষার মাধ্যমে একজন ছাত্র নৈতিক এবং মানবিক শিক্ষা গ্রহন করে থাকে। সরকার করোনা পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে গ্রহন করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও ওমিক্রনের দোহাই দিয়ে আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। সরকারের সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা না থাকার কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরী হয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জোর দাবি জানান।

তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাতে সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সমাজে শান্তি শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। নৈতিক ও চারিত্রিক পদস্খলনের কারণে সমাজে অশান্তি বিরাজ করছে। অসাধু ব্যবসায়ীগণ সিন্ডিকেট করে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্ত ও স্বল্প-আয়ের লোকজনের জীবন পরিচালনা করা অত্যন্ত দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। তিনি সকল প্রকার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ জনগনের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত নির্ধারিত সহযোগী সদস্যদের নিয়ে দুইদিন ব্যাপি কর্মশালার সমাপণী উধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

২ দিনব্যাপি কর্মশালার সমাপণী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মনির হোসাইন বলেন, সরকার বিশেষ কৌশলে মেধাবী ছাত্রদের মেধাহীন করার পায়তারা করেই যাচ্ছে। করোনার দোহাই দিয়ে সরকার দীর্ঘ দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছিলো। বেসরকারী এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে প্রায় ৪০% শিক্ষার্থী ঝরে পরেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বই ছেড়ে মাদকাসক্ত হয়ে জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলে সরকার পুনরায় নিজেদের হীন স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য ওমিক্রনের দোহাই দিয়ে পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। এভাবে চলতে থাকলে এদেশ এবং জাতী অদূর ভবিষ্যতে চরম ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। তাই অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আহ্বান জানান।

২ দিনব্যাপি কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয় আলোচনা পেশ করেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জলীল, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাউদ্দীন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা মুহাম্মদ আজীজুল হক, মনসুরুল আলম মনসুর।

সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল বিলাল আহমাদ চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য প্রভাষক আবদুল করিম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মনসুরুল আলম মনসুর, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন, খেলাফত মজলিস জেদ্দা মহানগরী সহ-সভাপতি বি এম দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রকল্যাণ ও পাঠাগার সম্পাদক আফজাল হোসাইন কামিল, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ জারির হোসাইন, বায়তুলমাল ও প্রচার সম্পাদক কে এম ইমরান হুসাইন, সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস ও স্কুল কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল গাফফার, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মুহাম্মদ ইসমাঈল খন্দকার, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী সভাপতি সাইফুল ইসলাম জলীল প্রমুখ।