শহীদ শাহ আলম এর মাকবারাহ জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মানিকগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী ছাত্র মজলিস কর্মী শাহ আলম শাহাদাত বরণ করেন।
শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত ঘটনাঃ- আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আল্লাহদ্রোহী একদল নাস্তিক-মুরতাদদের নগ্ন আস্ফালন শুরু হয়। ধর্মদ্রোহী এই গোষ্ঠী তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির আড়ালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও প্রিয় নবী স. এর বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে অশ্লীল, কুরূচিপূর্ণ ও বিষোদগার শুরু করেছিল। এদের দৌরাত্ম্য এত বেড়ে গিয়েছিলো যে শাহবাগ চত্বরে এসে মাইক লাগিয়ে প্রকাশ্যে ইসলাম, ইসলামী রাজনীতি, তাহজীব-তামাদ্দুনের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক ও হিংসাত্মক বক্তব্য দেয়া শুরু করেছিল। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের প্রায় সবকটি মিডিয়া নাস্তিকদের এই নগ্ন আস্ফালন জাতির সামনে প্রচার করে দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। কিন্তু আলেম ওলামা ও ইসলামপ্রিয় তাওহীদি জনতা সরকারের নাস্তিকদের এ আস্ফালন ও তাতে আওয়ামীলীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চরমভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
এর প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের ব্যানারে প্রায় সবকটি ইসলামী দল ও সর্বস্তরের আলেম ওলামাগণ ২২ ফেব্রুয়ারি বাদ জুমা সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সেদিন কর্মসূচি পালনকালে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট আওয়ামী বর্বর পুলিশ বাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণে খেলাফত মজলিস ও ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরী নেতৃবৃন্দসহ শত শত তাওহীদি জনতা নির্দয়ভাবে গুলিবিদ্ধ হয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশী নগ্ন হামলার প্রতিবাদে ২৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলাম।
হরতাল কর্মসূচি পালনকালে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানায় বিক্ষোভ মিছিল করতে গিয়ে বর্বর পুলিশী হামলা গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদাতবরণ করেন ইসলামী ছাত্র মজলিসের কর্মী শাহ আলম, খেলাফত মজলিস কর্মী নাসির উদ্দিনসহ আরো ৫ জন তাওহীদি জনতা। সেদিন মুক্তির মিছিলে শরীক হয়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছে যান শাহ আলম ভাই।
উল্লেখ্যঃ আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২২’ মুহতারাম কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মনির হোসাইন শহীদ শাহ আলমের বাসায় তার পরিবারের সার্বিক খোজখবর এবং শাহ আলমের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।