গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, কাকরাইলে “প্রাক্তন সদস্য পুনর্মিলনী ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইসলামী ছাত্র মজলিসের সাবেক সদস্যরা পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে হলে আল্লাহ ভীতি সম্পন্ন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। ইসলামী ছাত্র মজলিস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তার সকল জনশক্তিকে কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন গঠন এবং সংগঠন ও রাষ্ট্র পরিচালনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ছাত্র সমাজের মাঝে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে দাওয়াতি তৎপরতা চালাচ্ছে। বাংলাদেশকে অবক্ষয়ের হাত থেকে উদ্ধার করতে ইসলামি আন্দোলনের ময়দানে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে।
সেক্রেটারি জেনারেল কে এম ইমরান হুসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। তিনি তাঁর বক্তব্যে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও ২০২৫ সালের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকার পালনের আহ্বান জানান।কেন্দ্রীয় সভাপতি তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বার্ষিক রিপোর্ট ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পেশ করেন এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রোড ম্যাপ তুলে ধরেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি আরো বলেন, সংগঠনের সদস্যরা ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে একটি সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এই পুনর্মিলনী আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ ও সংগঠনের মূলনীতিকে আরও সুসংহত করবে।

“পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক খালেকুজ্জামান, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান।সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ (লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন), এডভোকেট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মাওলানা মুহাম্মদ জয়নুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, প্রভাষক মুহাম্মদ আবদুল করিম, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এডভোকেট মাওলানা মুহাম্মদ শায়খুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল কাশেম (যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হন), প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সোহাইল আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ আজিজুল হক, মাওলানা ইলিয়াস আহমদ, মাওলানা মনসুরুল আলম মনসুর, মাওলানা মুহাম্মদ মনির হোসেন, মাওলানা বিলাল আহমদ চৌধুরী।উক্ত পুনর্মিলনীতে দেশের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, সাবেক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, সাবেক ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ, দিকনির্দেশনা ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিলো উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাঈল খন্দকার, , ছাত্রকল্যাণ ও মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক আহসান আহমদ খান, প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পাস কার্যক্রম সম্পাদক জাকারিয়া হোসাইন জাকির, অফিস সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ত্বহা,পাঠাগার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ইবনে সালমান, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান।