ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের ষান্মাসিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত।

ওয়াকফ বিলের নামে আগ্রাসন ও গাজায় গণহত্যা মূলত মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিন্ন পায়তারা
…………………………..মুহাম্মদ রায়হান আলী

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের ষান্মাসিক সাধারণ অধিবেশন ১৪ ও ১৫ এপ্রিল (সোম ও মঙ্গলবার) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী উক্ত অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে বলেন—“আজকের বৈশ্বিক বাস্তবতায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন আর নির্যাতনের মাত্রা এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত গণহত্যায় ইতোমধ্যে প্রায় ৫১,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই শিশু ও নারী। আহত হয়েছে ১১৬,০০০-এর বেশি মানুষ। পুরো একটি জনপদকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে।

এই বর্বর আগ্রাসনের ঠিক পাশাপাশিই, ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরেকটি নিঃশব্দ যুদ্ধ শুরু হয়েছে ওয়াকফ বিলের নামে। শত শত বছরের ইসলামি ঐতিহ্য, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান—সবকিছু রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়ার আয়োজন চলছে আইনগত মোড়কে। এটি মুসলমানদের ইতিহাস, সম্পদ ও পরিচয় মুছে ফেলার গভীর চক্রান্ত।

এই দুটি ঘটনাই প্রমাণ করে—ভিন্ন কৌশল, কিন্তু উদ্দেশ্য একটাই: মুসলিম সমাজকে নিঃস্ব করা।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস এই বৈশ্বিক ইসলামবিদ্বেষী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
আমরা আহ্বান জানাই—বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ যেন ঘুম থেকে জাগে, প্রতিরোধের চেতনায় জ্বলে ওঠে।

আমরা আজ দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করছি—
ইসলাম ও মুসলমানদের ওপর যেকোনো আঘাতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সর্বদা সোচ্চার থাকবে ইনশাআল্লাহ।

অধিবেশনে শিক্ষা, রাজনীতি, সামাজিক অবক্ষয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়:

১.শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন পরিস্থিতি ও ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গ।
২. ফিলিস্তিনসহ দেশে দেশে মুসলিম হত্যা ও ইসরাঈলী আগ্রাসন প্রসঙ্গ ।
৩. শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার প্রসঙ্গে।
৪. বৈষম্য নিরসনে কাওমী-শিক্ষা সনদের
স্বীকৃতির বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে ।
৫. অন্তবর্তীকালীন সরকার ও চলমান সংস্কার প্রসঙ্গে।
৬. ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিসহ সামাজিক এবং নৈতিক অবক্ষয়ে আক্রান্ত দেশের ও যুব সমাজ।
৭. ভারতের ওয়াকফ বিল বাতিল ও ভারতীয় আগ্রাসন’ প্রসঙ্গ ।

২ দিনব্যাপী অধিবেশনে দারসে কুরআন পেশ করেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক আব্দুল জলিল, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন,অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, প্রকৌশলী আব্দুল হাফিজ খসরু, মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা বিলাল আহমদ চৌধুরী।

দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল কেএম ইমরান হুসাইন, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাঈল খন্দকার, প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পাস সম্পাদক জাকারিয়া হোসাইন জাকির, অফিস সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ত্বহা, পাঠাগার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি এইচ এম শাহাব উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সাকিব মাহমুদ রুমী ।