ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে
—বিলাল আহমদ চৌধুরী
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে প্রবলভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। এখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ নেই। সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। জনগণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিরাও নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন, জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পকেট ভারী করতে ব্যস্ত।
ছাত্রলীগসহ সরকারি দলের লোকদের অরা*জকতা ও সকল অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য দেশের মানুষ আজ লজ্জিত।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাঙ্গণগুলোতে পড়ালেখার পরিবেশ নেই। সরকারি দলের ছত্রছায়ায় ছাত্র নামধারী সন্ত্রা*সীদের হাতে জি*ম্মি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন সুন্দর, সুশৃঙ্খল, ও আদর্শপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ। ইসলাম এমন এক জীবনব্যবস্থা যেখানে সকল ধর্মের সকল বর্ণের মানুষের অধিকার নিশ্চিত রয়েছে। ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়ন ছাড়া মানুষের মুক্তি ও শান্তির বিকল্প কোন পথ নেই। প্রয়োজন জাতিকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের জ্ঞান অর্জন, চরিত্র গঠন ও সমাজ বিপ্লবের শ্লোগানকে সমাজে বাস্তাবায়িত করা। ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়ন ছাড়া ছাত্র সমাজসহ সাধারণ মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়।
তিনি ২০২৩-২০২৪ ঘোষিত বাজেট শিক্ষাবান্ধব বাজেট নয় বলে উল্লেখ করেন এবং বাজেটকে পুনরায় পর্যালোচনা করে সকল প্রকার শিক্ষা উপকরণাদীর মূল্য সাধারণ ছাত্রদের সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস বরিশাল জোন কর্তৃক আয়োজিত ২৩ ও ২৪ জুন, শুক্র ও শনিবার নির্ধারিত দায়িত্বশীলদের নিয়ে ২দিন ব্যাপী দায়িত্বশীল কর্মশালা ২০২৩ -এর সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পাস কার্যক্রম সম্পাদক এবং জোন তত্বাবধায়ক কে এম ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে দুইদিন ব্যাপী কর্মশালার বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন- ইসলামী ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসীর আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আবদুল মজিদ, অধ্যাপক এ কে মাহবুব আলম,
অধ্যাপক আহমাদ আসলাম, মাওলানা মুহাম্মাদ শামসুল আলম, মাস্টার সিদ্দিকুর রহমান (বরগুনা) অধ্যাপক মাওলানা সাইদুর রহমান, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান (বরিশাল) খন্দকার ইলিয়াস আহমদ।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অধ্যাপক এইচ এম শামীম হোসাইন, প্রভাষক নকীবুল আলম আলমগীর, এইচ এম জাকির হোসাইন, মাওলানা শামছুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মাদ শাহ-ই-আলম জহির প্রমুখ।
শাখা দায়িত্বশীলদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন তাহমীদ হাসান, নূরে আলম সিদ্দিকী, ইবরাহীম খলীল, আল আমিন রিপন, মশিউর রহমান মূসা, মুহাম্মদ সোলায়মান, মুহাম্মদ এনামুল হাসান প্রমুখ।